Wall Magazine
Language: Bangla
Got 2nd Prize in Milestone Internal Competition, 2022
ভূমণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি বা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বলতে সাধারণত সময় বা কারণ-নিরপেক্ষ হলেও মুলত ইদানীং কালের উষ্ণতা বৃদ্ধিকেই নির্দেশ করা হয় এবং এটি মানুষের কার্যক্রমের প্রভাবে ঘটেছে। এটি মূলত জলবায়ু পরিবর্তন এরই একটি অংশ। জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলন বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে মানুষের কারণে সৃষ্ট, আর জলবায়ুর বিভিন্নতাকে অন্য কারণে সৃষ্ট জলবায়ুর পরিবর্তন বোঝাতে ব্যবহার করে। কিছু কিছু সংগঠন মানুষের কারণে পরিবর্তনসমূহকে মনুষ্যসৃষ্ট (anthropogenic) জলবায়ুর পরিবর্তন বলে।
যন্ত্রকৃত তাপমাত্রার দলিল অনুযায়ী ১৮৬০-১৯০০ সালের তুলনায় ভূভাগ ও সমুদ্র উভয় ক্ষেত্রেই বিশ্বের তাপমাত্রা ০.৭৫°সে. (১.৪° ফা.) বৃদ্ধি পেয়েছে; শহুরে তাপদ্বীপের অতিরিক্ত গরমকে তেমন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়নি। ১৯৭৯ সাল থেকে ভূ-ভাগের তাপমাত্রা মহাসাগরের তাপমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুততায় বৃদ্ধি পেয়েছে (দশকে ০.১৩°সে. এবং স্থলে ০.২৫°সে.) (Smith, ২০০৫)। কৃত্রিম উপগ্রহকৃত তাপমাত্রা পরিমাপ হতে দেখা যায় যে, নিম্ন ট্রপোমণ্ডলের তাপমাত্রা ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতি দশকে ০.১২°সে.-০.২২°সে. সীমার মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮৫০ সালের এক বা দুই হাজার বছর আগে থেকে তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল ছিল, তাছাড়া সম্ভবত মধ্যযুগীয় উষ্ণ পর্ব কিংবা ক্ষুদ্র বরফযুগের মত কিছু আঞ্চলিক তারতম্য ঘটেছিল। নাসা-র (NASA) গডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজ-এর (Goddard Institute for Space Studies) করা অনুমিত হিসাব অনুযায়ী ১৮০০ শতকের শেষের দিক থেকে নির্ভরযোগ্য তাপমাত্রা মাপক যন্ত্রের ব্যাপক বিস্তার লাভের পর ২০০৫ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ বছর, যা ইতিপূর্বে লিপিবদ্ধ উষ্ণতম ১৯৯৮ সাল থেকে এক ডিগ্রীর কয়েক শতাংশ বেশি উষ্ণ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এবং যুক্তরাজ্য জলবায়ু গবেষণা ইউনিট, একটি অনুমিত হিসাব থেকে ২০০৫ সালকে ১৯৯৮ সালের পরে দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর হিসেবে বিবৃত করে।
শেষ ৫০ বছরে সবচেয়ে বিস্তারিত উপাত্ত আছে আর এই সাম্প্রতিক সময়েই জলবায়ু পরিবর্তনের ধরনটা (attribution of recent climate change) সবচেয়ে স্পষ্ট। এটা মনে রাখুন যে, মনুষ্যসৃষ্ট অন্যান্য দূষনকারী বস্তুর নিঃসরণ-বিশেষত সালফেট কণা-একটি শৈত্যয়ন ক্রিয়া ঘটায়; এটা বিশেষকরে দ্বাদশ শতকের মালভুমি/শৈত্যয়নের জন্য দায়ী, যদিও এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক জলবায়ু চক্রের কারণেও হতে পারে।
গ্রীনহাউজ গ্যাসসমূহর প্রভাব
কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড এবং সালফারের অন্যান্য অক্সাইডসমূহ, নাইট্রিক অক্সাইড, ক্লোরোফ্লুওরো কার্বন ইত্যাদি। গ্রীন হাউস গ্যাসগুলি পৃথিবীর স্থান থেকে তাপ বিকিরণ করে। এই তাপ, ইনফ্রারেড বিকিরণ রূপে, গ্রহের বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাসগুলি দ্বারা শোষিত এবং নির্গত হয় ফলে নিম্ন বায়ুমন্ডল এবং পৃষ্ঠকে উষ্ণ করে। পৃথিবীতে, স্বাভাবিকভাবেই গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণযুক্ত বায়ুমন্ডলে পৃষ্ঠের কাছে বায়ু তাপমাত্রা প্রায় 33 ডিগ্রি সেলসিয়াস (59 ডিগ্রি ফারেনহাইট) কম থাকে, যা তাদের অনুপস্থিতিতে কমাবে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছাড়া, পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা জলের তাপমাত্রার চেয়ে কম হবে। প্রধান গ্রীনহাউস গ্যাসগুলি ওয়াটার বাষ্প, যা গ্রীনহাউস প্রভাবের প্রায় 36-70% কারণ সৃষ্টি করে; কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2), যা 9-26% কারণ; মিথেন (CH4), যা 4-9% কারণ; এবং ওজোন (O3), যা 3-7% কারণ।
সূর্য পৃথিবীর প্রাথমিক শক্তি উৎস হিসাবে, আগত সূর্যালোকের পরিবর্তন সরাসরি জলবায়ু ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। সৌর অনাক্রম্যতা 1978 সাল থেকে সরাসরি উপগ্রহ দ্বারা পরিমাপ করা হয়েছে, কিন্তু পরোক্ষ পরিমাপ 1600 এর দশকের শুরুর দিকে শুরু হতে পারে। সূর্যের শক্তি পৃথিবীতে পৌঁছানোর পরিমাণে কোন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নেই, তাই এটি বর্তমান উষ্ণায়নের জন্য দায়ী নয়। শারীরিক জলবায়ু মডেলগুলি সাম্প্রতিক দশকগুলিতে সৌর আউটপুট এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপে কেবলমাত্র বৈচিত্র্য বিবেচনা করে দ্রুত উষ্ণায়নের পুনরুৎপাদন করতে পারে না।
গবেষকগণ ও পরিবেশবিদেরা বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে নিম্নোক্ত চারটি পদক্ষেপকে সবচে' বেশি গুরুত্ব প্রদান করছেন:
মানব সচেতনতা।
গাড়ির ধোঁয়া, কারখানার ধোঁয়া ইত্যাদি রোধ।
সিএফসি নির্গত হয় এমন যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমিয়ে আনা।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ।
Farm Widen হচ্ছে একটি Farming System। যা ব্যবহার করে কম খরচে অধিক খাদ্য উৎপাদন করা সক্ষম। Farm Widen System ব্যবহার করে আমরা ৪০০% অধিক খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হব।
Farm Widen-এ রয়েছে তিনটি অসাধারণ Technology।
1. Grain House
2. Biofloc
3. Cattle House Technology
যেগুলো আমাদের Advanced Software দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
Grain House Technology
Grain House Technology-তে অধিক ফসলী জমি ব্যবহার না করে কম জায়গায় ফ্লোর সিস্টেমে অধিক খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব। ফসল সাধারনত ৩-৬ ঘণ্টা সূর্যের আলো পায়। কিন্তু Grain House Technology-তে আমরা LLT ( LED Light Treatment) এর মাধ্যমে ফসলকে ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা সূর্যের আলো দিতে পারব। যার ফলে ফসলের উৎপাদন সময় অর্ধেক হয়ে যাবে। অন্যদিকে মাটির পুষ্টিগুন স্বল্পতার কারনে সাধারণ উদ্ভিদ মাটি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকনা সংগ্রহ করতে পারেনা। কিন্তু Grain House Technology-তে আমরা Water Supplying System-এর মাধ্যমে ফসল কে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকনা দিতে পারব। যার ফলে ফসল উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে যাবে। সুতরাং আমরা বলতে পারি, Grain House Technology-এর মাধ্যমে আমরা চার গুণ বেশি ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হব।
Biofloc Technology
Biofloc Technology-তে কম জায়গায় Biofloc ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে অধিক মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। পুকুর অথবা অন্যান্য মাছ উৎপাদন কেন্দ্রে মাছ সঠিকভাবে বৃদ্ধির উপযুক্ত পরিবেশ পায় না। কিন্তু Biofloc Technology-তে মাছের সঠিকভাবে বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন, অ্যামোনিয়া, নাইট্রোজেন ও খাদ্য উপস্থিত থাকে। যার ফলে মাছ সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায়। Biofloc Technology-তে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়, যেটি মাছের বর্জ্যকে আবার মাছের খাবারের রূপান্তর করে। যার ফলে ৪৫% খাদ্য খরচ কমে যায় এবং খাদ্য অপচয়ও কমে যায়। এবং বায়োফ্লক টেকনোলজি ব্যবহার করে একজন কৃষক তার উৎপাদন খরচের ৬০% বেশি লাভ করতে পারবেন।
Project Planned, Developed & Designed by, Mohammad Sadman Islam
Wall Magazine Designed by, Towfiqul Islam Niloy
© Wall Magazine's Copyright Owned by, Milestone College
© Project Copyright Owned by, JSSOL Research